Chandrayaan 2 LIVE: আপনাদের প্যাশন, নিষ্ঠা আমাদের প্রেরণা, ইসরোর বৈজ্ঞানিকদের প্রতি টুইট রাহুলের

গোটা ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর সরাসরি সম্প্রচার হবে দূরদর্শনে। এছাড়া, ইসরোর ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারেও লাইভ সম্প্রচার হবে।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 07 Sep 2019 12:23 PM
অমিতাভ বচ্চনের টুইট
দেখুন শাহরুখ খানের টুইট
আজ সকালে আপনাদের দর্শন করতে এসেছি আপনাদের থেকে প্রেরণা পেতে। আপনারা প্রকৃত প্রেরণার উদাহরণ।
আমরা অবশ্যই সফল হব, ২১ শতকে ভারতের আকাঙ্খা রুখতে পারে, এমন কোনও শক্তি নেই।
আমরাই মঙ্গলে ভারতের পতাকা উড়িয়েছি, চাঁদে জল থাকার সংবাদও আমরা প্রথম দিয়েছি পৃথিবীকে।
দেশে বিদেশে যখন যেখানে থেকেছি চন্দ্রযানের খবর নিয়েছি। আমরা মহাকাশে অন্যতম শক্তিশালী দেশ।
শেষ মুহূর্তে আমাদের আশা হয়তো পূর্ণ হয়নি কিন্তু এই চন্দ্রমুখী যাত্রা অসামান্য ছিল।
পরিণামের কথা না ভেবে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের পরম্পরা।
হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে এমন অনেক মুহূর্ত এসেছে যা আমাদের গতি শ্লথ করেছে কিন্তু রুদ্ধ করতে পারেনি। তাই আমাদের সভ্যতা এখনও মাথা উঁচু করে রয়েছে।
জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন, আপনাদের সেরাটা দিয়েছেন আপনারা।
আবিষ্কারের আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র আছে, জানিয়ে দিতে চাই, ভারত আপনাদের সঙ্গে আছে।
চাঁদ ছোঁয়ার ইচ্ছে আমাদের আরও প্রবল হল।
বাধা নিশ্চয় এসেছে কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়িনি।
এটাই ছিল মহাকাশে আমাদের সব থেকে উচ্চাশাপূর্ণ মিশন, গোটা দেশ জেগে ছিল আপনাদের সঙ্গে।
আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, বহু রাত আপনারা ঘুমোননি, ইসরোর বিজ্ঞানীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী।
ইসরোয় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযানে ওঠাপড়া থাকেই। আপনারা যতদূর এগিয়েছেন দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। ভেঙে পড়ার কিছু নেই, আমরা এগোবই। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
চাঁদের একদম কাছে গিয়েও ল্যান্ডারের সঙ্গে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অবতরণের কথা ছিল ১টা ৫২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠের ২.১ কিমি আগে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবরকম সঙ্কেত আসা বন্ধ হয়ে যায়। পরিকল্পনা মাফিক ল্যান্ডার থেকে আসার কথা ছিল ছবি। সেই ছবি দেখেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। তার পরে ল্যান্ডার থেকে নামার কথা ছিল রোভার-প্রজ্ঞানের
অবতরণের পথে ‘বাধা’। সিগন্যাল মিলছে না ল্যান্ডার বিক্রমের। ইসরো কেন্দ্রে উদ্বেগ। উৎকণ্ঠায় সকল বিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে গোটা বিষয়টি জানালেন ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন। শোনার পর বেরিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
রাফ ব্রেকিং প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার উচ্চতা থেকে শুরু ফাইন ব্রেকিং প্রক্রিয়া....
অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু করল ‘বিক্রম’। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অবতরণ। চাঁদ থেকে আর ৩০ কিমি দূরে বিক্রম। মাত্র ১৩ মিনিট পরই অবতরণ। ধীরে ধীরে কমছে গতি।
চন্দ্রে অবতরণ ‘চন্দ্রযান ২’-এর, লাইভ সম্প্রচার দেখুন এবিপি আনন্দ-এ। ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: http://abpananda.abplive.in/livetv/
নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ২ মিনিট আগে--রাত ১টা ৫২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ২।
ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারত। রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেইসঙ্গে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কৃতিত্ব অর্জন করবে ভারত।
বেঙ্গালুরু পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি, ইসরো থেকে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ২-এর অবতরণ সরাসরি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। সফল অবতরণের পর দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
চন্দ্রে অবতরণ ‘চন্দ্রযান ২’-এর, লাইভ সম্প্রচার দেখুন এবিপি আনন্দ-এ। ক্লিক করুন এই লিঙ্কে:
http://abpananda.abplive.in/livetv/
ইতিহাস রচনা করতে আমরা তৈরি, জানাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কেন্দ্রে গিয়ে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে আমি ভীষণই উদগ্রীব। আমার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পড়ুয়ারা এই বিশেষ ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে। আমি প্রতি মুহূর্তে সব খবরাখবরের আপডেট রাখছি। এই অভিযান ভারতের ইচ্ছাশক্তি ও দক্ষতার প্রমাণ।
সকলকে চন্দ্রযান ২ অবতরণের সম্প্রচার সরাসরি দেখার আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

पार्श्वभूमी

বেঙ্গালুরু: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শুক্রবার গভীর রাত দেড়টা নাগাদ চাঁদের বুকে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করবে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার আগে, ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন জানালেন, সবকিছুই পরিকল্পনা-মাফিক এগোচ্ছে। শুক্রবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান জানান, আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সবকিছু এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনা-মাফিক এগোচ্ছে।
ইসরো সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাত দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে অবতরণ করবে ‘বিক্রম’। এরপর, ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ল্যান্ডারের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত দুটি গহ্বর -- ‘মানঝিনাস সি’ ও ‘সিম্পেলিয়াস এন’-এর মধ্যবর্তী কোনও একটি জায়গায় ‘সফট ল্যান্ডিং’ করার কথা ‘বিক্রম’-এর। এরপর ল্যান্ডারের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। গোটা ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর সরাসরি সম্প্রচার হবে দূরদর্শনে। এছাড়া, ইসরোর ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারেও লাইভ সম্প্রচার হবে।






 



ইসরোর এক শীর্ষ বিজ্ঞানী বলেন, অবশ্যই গোটা টিমের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। কারণ, এই অবতরণের প্রক্রিয়াটি ভীষণই জটিল। সর্বোপরি, এটা আমরা প্রথমবার করছি। সেই সময় সেন্সর, কম্পিউটার, কমান্ড সিস্টেম-- সবকিছুকে ঠিকঠাক কাজ করতে হবে। তবে, আমরা আশাবাদী। কারণ, আমরা এখানে প্রচুর ‘সিমুলেশন’ (আসল পরিস্থিতির নাট্যরূপ) সম্পন্ন করেছি। ফলে, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করবে। ওই বিজ্ঞানী ‘সফট ল্যান্ডিং’-কে অনেকটা শিশুকে দোলনায় রাখার সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, উদ্বেগ আছে, তবে ভয় নেই।
চন্দ্রযান ২-এর চাঁদে অবতরণের সময় সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে বেঙ্গালুরুর ইসরো টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ইসট্র্যাক)-এ শুক্রবার রাতে উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত থাকছে ইসরো-আয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতা বিজয়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল-পড়ুয়ারা। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই সবার চোখ থাকবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর দিকে। ১,৪৭১ কেজির ‘বিক্রম’-কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তা ‘সফট ল্যান্ডিং’ করতে সক্ষম। অন্যদিকে, রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর ওজন ২৭ কেজি। ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত দূরে চলতে সক্ষম এই রোভারটি। দুটি যানই এক চন্দ্রদিবস (পৃথিবীর ১৪ দিন) সচল থাকবে। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর মধ্যে তিনটি মূল বৈজ্ঞানিক যন্ত্র থাকবে, যার প্রধান কাজ হবে চাঁদের মাটির নীচে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, মাটি ও মাটির ওপরে বিভিন্ন পরীক্ষা করবে ‘প্রজ্ঞান’।






 



‘সফট ল্যান্ডিং’ সফল হলে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারত। তবে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করবে ভারত। চন্দ্রযান ২-এর মোট খরচ ৯৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে উপগ্রহের খরচ ৬০৩ কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপণের জন্য রকেট নির্মাণের খরচ ৩৭৫ কোটি টাকা।
গত ২২ জুলাই অর্বিটার, ল্যান্ডার ও রোভারকে নিয়ে জিএসএলভি মার্ক ৩ এম-১ রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান ২। উৎক্ষেপণের ২৩ দিনের মাথায় ১৪ অগাস্ট তা পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। এরপর, ২ সেপ্টেম্বর অর্বিটারের থেকে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয় ল্যান্ডার। পরের দুদিন দুবার ম্যানুভারিং করে কক্ষপথের পরিধি কমিয়ে অবতরনের চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত ল্যান্ডারটি।
ইসট্র্যাক থেকে চন্দ্রযান ২-এর ওপর প্রতিনিয়ত নজর ও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কে শিবন সম্প্রতি জানিয়েছেন, অভিযানের সাফল্যের জন্য আমাদের তরফে ও ক্ষমতায় যা যা করা সম্ভব, সবকিছুই করা হয়েছে। এখন একটাই প্রার্থনা-- যাতে ‘সফট ল্যান্ডিং’ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.