Live updates: এবার লোকসভাতেও পাস কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল
রাজ্যসভার পর এবার লোকসভায় পেশ জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন প্রস্তাব। আজও উত্তাল সংসদ। রাতারাতি সব আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যভাগ করা হচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভাগ করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে অভিযোগ কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে উল্লেখ করুন।
एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 06 Aug 2019 07:30 PM
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার পর এবার লোকসভায় পেশ জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন প্রস্তাব। আজও উত্তাল সংসদ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাতারাতি সব আইন লঙ্ঘন করে...More
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার পর এবার লোকসভায় পেশ জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন প্রস্তাব। আজও উত্তাল সংসদ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাতারাতি সব আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যভাগ করা হচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভাগ করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর। । পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে উল্লেখ করুন।সভায় হৈ হট্টগোলের মধ্যেই কংগ্রেস সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেস অভিযোগ করে, রাতারাতি জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল।জবাবে শাহ বলেন, সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানেও একই কথার উল্লেখ রয়েছে। তাই জম্মু-কাশ্মীরে আইন প্রণয়নে কোনও বাধা নেই। জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিনও অন্তর্ভুক্ত। আর সমগ্র এই কাশ্মীর উপত্যকাই দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।শাহ বলেন, লাদাখকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। নরেন্দ্র মোদি সরকার সেই দাবি পূরণ করল।জম্মু-কাশ্মীরে বাতিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা। মিলবে না আর বিশেষ মর্যাদা। গতকাল রাজ্যসভায় জম্মু কাশ্মীর সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারাল জম্মু-কাশ্মীর। একই সঙ্গে ওই রাজ্যকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, এই দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার বিলটিও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাব লোকসভায় পেশ হয়েছে। লোকসভায় এই প্রস্তাব পাশ হলে কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের অধিকার হারিয়ে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।এদিন এই প্রস্তাব লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ করে। এর পাল্টা হিসেবে কীভাবে সরকার আইন ভঙ্গ করেছে তার ব্যাখ্যা চান শাহ। কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শাহ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদাই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কেউ প্রতিবন্ধতকতা তৈরি করতে পারে না । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের জন্য আমরা আমাদের জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এক্ষেত্রে কোনও সংশয় নেই। যখন জম্মু ও কাশ্মীরের কথা বলছি, তখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আকসাই চিনও তার অন্তর্ভূক্ত।কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, কোনও রাজ্যের সীমানা সংশোধন করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার মতামত নেওয়া প্রয়োজন। আর এই সংস্থান সংবিধানে এজন্যই রাখা হয়েছে যাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনগন তাঁদের মতামত জানানোর সুযোগ পান। কিন্তু এক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা এখন ভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। সংসদে প্রস্তাব পেশ করেই জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যত নির্ধারন করা হচ্ছে, যা অসাংবিধানিক।তিওয়ারি বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরির আগে অন্ধ্র বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার এক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করেনি। ১৯৫২-র পর যখনই কোনও নতুন রাজ্য তৈরি করা হয়েছে বা সীমানা বদল করা হয়েছে, তখন তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বিধানসভায় আলোচনা না করে হয়নি।তিনি দাবি করেন, জওহরলাল নেহরুর জন্যই জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।পাল্নেটা বিজেপি সাংসদ যুগল কিশোর শর্মা দাবি করেন, নেহরুর জন্যই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা চালু হয়েছিল। রাজা হরি সিংহর কোনও ভূমিকা ছিল না।
= liveblogState.currentOffset ? 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow hidden' : 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow'">
কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে আরও বিভাজন।কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলকে সমর্থন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। কাশ্মীরের থেকে লাদাখকে ভাগ, কেন্দ্রকে সমর্থন সিন্ধিয়ার।
বললেন, ‘সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আরও ভাল হত, সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে করলে কোনও প্রশ্ন উঠত না।দেশের স্বার্থে আমি একে সমর্থন করি’।কংগ্রেসে অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বিস্ফোরক সিন্ধিয়া।
বললেন, ‘সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আরও ভাল হত, সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে করলে কোনও প্রশ্ন উঠত না।দেশের স্বার্থে আমি একে সমর্থন করি’।কংগ্রেসে অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বিস্ফোরক সিন্ধিয়া।