Live updates: এবার লোকসভাতেও পাস কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল

রাজ্যসভার পর এবার লোকসভায় পেশ জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন প্রস্তাব। আজও উত্তাল সংসদ। রাতারাতি সব আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যভাগ করা হচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভাগ করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে অভিযোগ কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে উল্লেখ করুন।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 06 Aug 2019 07:30 PM
কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে আরও বিভাজন।কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলকে সমর্থন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। কাশ্মীরের থেকে লাদাখকে ভাগ, কেন্দ্রকে সমর্থন সিন্ধিয়ার।
বললেন, ‘সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আরও ভাল হত, সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে করলে কোনও প্রশ্ন উঠত না।দেশের স্বার্থে আমি একে সমর্থন করি’।কংগ্রেসে অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বিস্ফোরক সিন্ধিয়া।
রাজ্যসভার পর লোকসভাতেও পাস জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল।জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ অধিকার প্রদান সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার প্রস্তাব ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্তকরণ সংক্রান্ত বিল সংসদে অনুমোদিত হল । লোকসভায় প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৫১, বিপক্ষে ৭২। ১ সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। গতকালই এই প্রস্তাব রাজ্যসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ –এই দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গঠন সংক্রান্ত বিল লোকসভায় ৩৬৭-৬৭ ভোটে পাস হয়েছে।
এবার রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরই জম্মু-কাশ্মীর ভাগে সিলমোহর।
শাহ বলেছেন, অধীর চৌধুরী রাষ্ট্রপুঞ্জের কথা বলেছেন। কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুকে কে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহরু। ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা, তা ইতিহাস বিচার করবে। কিন্তু যখনই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মানুষ স্মরণ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল নিয়ে লোকসভায় আলোচনায় জবাবি ভাষণে বলেছেন, আমরা হুরিয়তের সঙ্গে কোনও আলোচনা চাই না। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।
৩৭০ ধারা ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল।
শাহ বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকার ইতস্তত করবে না।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দাবি ভারত ছাড়বে না বলেও জানিয়েছেন শাহ।
উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যকে যে ধারাতে কিছু নির্দিষ্ট অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেই ৩৭১ ধারা সরানোর কোনও উদ্দেশ্যই নেই মোদি সরকারের।
আজ সন্ধেয় বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেখানে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন এবং পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আলোচনা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিল পাশ হয়নি। কাশ্মীরের মানুষের সম্মতি নেওয়া উচিত ছিল। তৃণমূল এই সিদ্ধান্তে সামিল হতে চায় না বলেই ওয়াক-আউট।
রাজ্যসভায় বিলের ওপর ভোটাভুটির সময় ওয়াক আউট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, বিল পাশের পথ সুগম করতে তাঁর দলের সদস্যরা ওয়াক আউট করেছিলেন, এমনটা কিন্তু নয়।
মমতা বলেছেন, তাঁরা সার্বিকভাবে এই বিলের বিরোধিতা করবেন। এ ব্যাপারে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা দরকার ছিল।
মণীশ তিওয়ারিকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, সর্দার পটেলের ভূমিকাকে কীভাবে ভুলতে পারেন। আজ কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ, এক্ষেত্রে সর্দার পটেলের ভূমিকা ছিল। কংগ্রেস দলের হয়ে আলোচনার যিনি শুরু করেছিলেন, তিনি এটা স্পষ্ট করলেন না যে, তাঁরা ৩৭০ ধারার পক্ষে, না বিপক্ষে।
এর জবাবে তিওয়ারি বলেন, সমস্ত বিষয় সাদা বা কালো হয় না। মনে হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য কিছু ভাবছিলেন। তিনি আমার কথা শোনেননি। আমি বলেছি, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অনুমতি ছাড়া ৩৭০ ধারা খারিজ করা যায় না। আর বিধানসভায় আলোচনা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক নয়।
তিওয়ারি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পৃথক সংবিধান রয়েছে, যা ১৯৫৭-র ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছিল। এখন ওই রাজ্যকে দুটি ভাগে ভাগ করা হলে ওই সংবিধানের কী হবে? সরকার কি এজন্যও পৃথক বিল নিয়ে আসবে? সরকার এই বিল আনার আগে আইনি দিকগুলি বিবেচনা করে দেখিনি। ৭০ বছরে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চললকে রাজ্য পরিণত করার দাবি সামনে এসেছে। সম্ভবত এই প্রথম কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এর থেকে বড় আঘাত আর হতে পারে না।


কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, সংবিধানে শুধুই ৩৭০ ধারা নেই, ৩৭১ এ থেকে শুরু করে ১ পর্যন্ত ধারা রয়েছে, যেগুলিতে নাগাল্যান্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুর ও সিকিমের মতো রাজ্যগুলিকে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। এখন ৩৭০ ধারা লোপ করা হলে ওই রাজ্যগুলির কাছে কী বার্তা যাচ্ছে? আগামী দিনে কেন্দ্র ৩৭১ ধারারও বিলুপ্তি ঘটাতে পারে? উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে এবং সংসদে তাদের বিধানসভাগুলির অধিকার ব্যবহার করে ৩৭১ ধারাও বাতিল করা হতে পারে? দেশে কী ধরনের সাংবিধানিক নজির আপনারা রাখছেন?

पार्श्वभूमी

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার পর এবার লোকসভায় পেশ জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন প্রস্তাব। আজও উত্তাল সংসদ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে  কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাতারাতি সব আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যভাগ করা হচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভাগ করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর। । পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে উল্লেখ করুন।
সভায় হৈ হট্টগোলের মধ্যেই কংগ্রেস সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেস অভিযোগ করে, রাতারাতি জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল।



জবাবে শাহ বলেন, সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানেও একই কথার উল্লেখ রয়েছে। তাই জম্মু-কাশ্মীরে আইন প্রণয়নে কোনও বাধা নেই। জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিনও অন্তর্ভুক্ত। আর সমগ্র এই কাশ্মীর উপত্যকাই দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।শাহ বলেন, লাদাখকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। নরেন্দ্র মোদি সরকার সেই দাবি পূরণ করল।



জম্মু-কাশ্মীরে বাতিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা। মিলবে না আর বিশেষ মর্যাদা। গতকাল রাজ্যসভায় জম্মু কাশ্মীর সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারাল জম্মু-কাশ্মীর। একই সঙ্গে ওই রাজ্যকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, এই দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার বিলটিও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাব লোকসভায় পেশ হয়েছে। লোকসভায় এই প্রস্তাব পাশ হলে কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের অধিকার হারিয়ে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
এদিন এই প্রস্তাব লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ করে। এর পাল্টা হিসেবে কীভাবে সরকার আইন ভঙ্গ করেছে তার ব্যাখ্যা চান শাহ। কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শাহ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদাই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কেউ প্রতিবন্ধতকতা তৈরি করতে পারে না । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের জন্য আমরা আমাদের জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এক্ষেত্রে কোনও সংশয় নেই। যখন জম্মু ও কাশ্মীরের কথা বলছি, তখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আকসাই চিনও তার অন্তর্ভূক্ত।

কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, কোনও রাজ্যের সীমানা সংশোধন করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার মতামত নেওয়া প্রয়োজন। আর এই সংস্থান সংবিধানে এজন্যই রাখা হয়েছে যাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনগন তাঁদের মতামত জানানোর সুযোগ পান। কিন্তু এক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা এখন ভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। সংসদে প্রস্তাব পেশ করেই জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যত নির্ধারন করা হচ্ছে, যা অসাংবিধানিক।
তিওয়ারি বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরির আগে অন্ধ্র বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার এক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করেনি। ১৯৫২-র পর যখনই কোনও নতুন রাজ্য তৈরি করা হয়েছে বা সীমানা বদল করা হয়েছে, তখন তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বিধানসভায় আলোচনা না করে হয়নি।

তিনি দাবি করেন, জওহরলাল নেহরুর জন্যই জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

পাল্নেটা বিজেপি সাংসদ  যুগল কিশোর শর্মা দাবি করেন, নেহরুর জন্যই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা চালু হয়েছিল। রাজা হরি সিংহর কোনও ভূমিকা ছিল না।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.