- मुख्यपृष्ठ
-
Election
-
निवडणूक
live updates: নোটিস দিল বিজেপি, কর্নাটকে বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি কুমারস্বামী সরকার
live updates: নোটিস দিল বিজেপি, কর্নাটকে বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি কুমারস্বামী সরকার
কুমারস্বামী নিজেই গত সপ্তাহে আস্থাভোটের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তাব দেন। ১৬ কংগ্রেস, জেডি(এস) বিধায়ক স্পিকার কে আর রমেশ কুমারকে ইস্তফাপত্র দেওয়ায় তাঁর জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে বসেছে।
एबीपी माझा वेब टीम
Last Updated:
15 Jul 2019 05:51 PM
এদিকে মুম্বইয়ের হোটেলে স্বেচ্ছাবন্দি থাকা বিদ্রোহী বিধায়করা শহরের পুলিশ প্রধানকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মল্লিকার্জুন খাড়গে বা কংগ্রেসের আর কোনও নেতার সঙ্গেই দেখা করতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন। বিদ্রোহীরা মহানগরীর যে রেনেসাঁ পোয়াই হোটেল রয়েছেন, সেখানে খাড়গে ও কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য নেতারা, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও তাঁদের বোঝানোর জন্য যেতে পারেন বলে খবর রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই তাঁরা পুলিশ প্রধানকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, খাড়গে বা গুলাম নবি আজাদ বা অন্য কোনও কংগ্রেস নেতার সঙ্গেই দেখা করার কোনও বাসনা তাঁদের নেই। বরং তাঁদের ভয় দেখানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতারা এলে যেন তাঁদের আটকানো হয়, পুলিশকে আবেদন করেছেন বিদ্রোহী শাসক শিবিরের এমএলএ-রা। ১৫ বিধায়ক হোটেলে আছেন। কর্নাটকে ঘর গুছিয়ে কুমারস্বামী সরকার বাঁচাতে গত রবিবারই বৈঠকে বসেছেন কংগ্রেস-জেডি (এস) জোটের নেতারা। কুমারস্বামী সরকারের বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার আগে বিদ্রোহী বিধায়কদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে তাঁদের প্রয়াস চলছে। যদিও বিদ্রোহী বিধায়করাও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইস্তফার পদক্ষেপে অনড়।
মুম্বইয়ের হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বিদ্রোহী বিধায়করা ১৮ জুলাই কুমারস্বামীর আস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটদানে গরহাজির থাকতে পারেন বলে সূত্রের দাবি। বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার সময় তাঁরা বেঙ্গালুরুর বিমান ধরবেন না, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। বিধায়কদের মুম্বইয়ে থাকার ব্যাপারে সমন্বয় রক্ষা করা সূত্রটি বলেছে, বিদ্রোহী বিধায়করা বিধানসভার স্পিকারকে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন। তাঁরা ইস্তফার সিদ্ধান্তে অটল, তাই শক্তিপরীক্ষার সময় তাঁদের বিধানসভায় হাজির থাকার কোনও কারণই নেই। ৩ থেকে ৪ জন বিধায়ক বিজেপিতে ভিড়তে পারেন, কিন্তু মুম্বইয়ে আসছেন না।
ওই ১০ বিদ্রোহী বিধায়কের সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি, সর্বোচ্চ আদালত স্পিকারকে অবিলম্বে নির্দেশ দিক তিনি যাতে তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেন। তার পাশাপাশি আজ আরও ৫ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কেরও আবেদনের শুনানি করতেও সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। স্পিকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ না করায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরও দাবি, স্পিকার তাঁদের ইস্তফাও স্বীকার করুন। সুপ্রিম কোর্ট গত ১২ জুলাইয়ের নির্দেশে জানায়, কংগ্রেস-জেডি(এস) এর বিদ্রোহী ১০ বিধায়কের ইস্তফা ও বিধায়কপদ বাতিল নিয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশনে গরহাজির রয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। তাঁরা বর্তমানে মুম্বইয়ে আছেন। তাঁদের ইস্তফাপত্র বৈধ বলে গণ্য হওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। স্পিকার তাঁদের ইস্তফা এখনও গ্রহণ করেননি।
पार्श्वभूमी
বেঙ্গালুরু: বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকারের। কংগ্রেসের ১৩, জেডি(এস)-এর ৩, সব মিলিয়ে শাসক শিবিরের ১৬ বিধায়কের ইস্তফার সিদ্ধান্তে টালমাটাল পরিস্থিতির সম্মুখীন রাজ্যের এইচ ডি কুমারস্বামী সরকার। আজ বিধানসভার কার্যক্রম সংক্রান্ত উপদেষ্টা প্যানেলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার আস্থাভোট হবে বিধানসভায়। সকাল ১১টায় আস্থাপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হবে বলে জানান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
কুমারস্বামী নিজেই গত সপ্তাহে আস্থাভোটের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তাব দেন। ১৬ কংগ্রেস, জেডি(এস) বিধায়ক স্পিকার কে আর রমেশ কুমারকে ইস্তফাপত্র দেওয়ায় তাঁর জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে বসেছে। ১৬ জনের ইস্তফা গৃহীত হলে ২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভার শক্তি কমে হবে ২০৯। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের টিকে থাকতে প্রয়োজন হবে ১০৫ জনের। কিন্তু তাদের শক্তি এখন মাত্র ১০১। বিজেপির হাতে আছে ১০৫ জন বিধায়ক। দুজন নির্দল বিধায়কও তাদের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
বিধায়ক ১৬ জনের ইস্তফার বৈধতা নির্ধারণের প্রশ্ন চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ বলেই এখনও বহাল রয়েছে কুমারস্বামী সরকার। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন, আগে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত হবেন যে, ওই ১৬ জন স্বেচ্ছায়, কোনও চাপের মুখে পড়ে নয়, ইস্তফা দিয়েছেন। আইনে সেটাই তাঁর করা উচিত। ১০ বিদ্রোহী বিধায়কের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলার পরও তিনি অবস্থানে অটল রয়েছেন। স্পিকারের বক্তব্য শোনার পর অবশ্য শীর্ষ আদালত পরে তাঁকে বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিল বা তাঁদের ইস্তফা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
বিজেপি কর্নাটকে ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে কুমারস্বামী ইস্তফা দিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে শাসনভার হাতে নেওয়ার রাস্তা করে দেওয়ার দাবি করলে তিনি পাল্টা আস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকে বিজেপি স্পিকারকে নোটিস দিয়ে কুমারস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চায়। বিজেপির তরফে বৈঠকে ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। অনাস্থা প্রস্তাব তোলার জন্য তিনি নোটিস দেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সি টি রবি।