মহিলা সাংসদকে আজম খানের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, ‘ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা’, সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 26 Jul 2019 06:48 PM
ফের একবার বিতর্কে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আজম খান। লোকসভা চলাকালীন স্পিকারের আসনে বসে থাকা বিহারের সাংসদ রমা দেবীকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু মন্তব্য করেন আজম খান, যা নিয়ে সংসদেই হৈ-হট্টগোল বেঁধে যায়। রমা দেবীকে করা ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে চিৎকার করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ আজম খানের বক্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমাও চাইতে বলেন। এসপি সাংসদের মন্তব্যের ঘোরতর বিরোধিতা করেন সংসদের অন্যান্য মহিলা সাংসদরাও। যদিও এই ইস্যুতে দলীয় সাংসদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন এসপি সুপ্রিমো তথা সাংসদ অখিলেশ যাদব। আজম খানের বক্তব্যে আপত্তিকর কোনও বিষয় ছিল না বলেই সংসদে বক্তব্য রেখেছেন মুলায়ম পুত্র।
বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর ট্যুইট- আজম খানকে শুধু সংসদেই নয়, সমস্ত মহিলাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আজম খানের ওপর চাপ বাড়ল। সভায় দাঁড়িয়ে তিনি যদি ক্ষমা চাইতে না পারেন, তাহলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। লোকসভায় বিভিন্ন দলের সদস্যরাই তাঁর মন্তব্যের জন্য সমাজবাদী পার্টি সাংসদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সভা থেকে আজমের সাসপেনশনের দাবিও উঠেছে।
সভার বাইরে বিড়লার নেতৃত্বে সমস্ত দলগুলির ফ্লোর লিডারদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আজমকে ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, অধ্যক্ষ আজম খানকে সভায় দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলবেন। তিনি যদি তা না করেন তাহলে অধ্যক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ভার দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, আজমের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ভার অধ্যক্ষকে দিতে লোকসভায় একটি প্রস্তাব অনুমোদমন করা হতে পারে।
বেশ কয়েকজন মহিলা সাংসদ আজমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি লিখেছেন।
রমা দেবী চলতি লোকসভার পুরো পাঁচ বছরই আজমকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আজম খানের ওপর চাপ বাড়ল। সভায় দাঁড়িয়ে তিনি যদি ক্ষমা চাইতে না পারেন, তাহলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। লোকসভায় বিভিন্ন দলের সদস্যরাই তাঁর মন্তব্যের জন্য সমাজবাদী পার্টি সাংসদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সভা থেকে আজমের সাসপেনশনের দাবিও উঠেছে।
সভার বাইরে বিড়লার নেতৃত্বে সমস্ত দলগুলির ফ্লোর লিডারদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আজমকে ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, অধ্যক্ষ আজম খানকে সভায় দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলবেন। তিনি যদি তা না করেন তাহলে অধ্যক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ভার দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, আজমের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ভার অধ্যক্ষকে দিতে লোকসভায় একটি প্রস্তাব অনুমোদমন করা হতে পারে।
বেশ কয়েকজন মহিলা সাংসদ আজমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি লিখেছেন।
রমা দেবী চলতি লোকসভার পুরো পাঁচ বছরই আজমকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার আজম খানের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, সংসদে আজম খান যে মন্তব্য করেছেন তা ‘সম্পূর্ণভাবে নিন্দনীয়’। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।
শুক্রবার আজম খানের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, সংসদে আজম খান যে মন্তব্য করেছেন তা ‘সম্পূর্ণভাবে নিন্দনীয়’। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।
তিন তালাক নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় স্মৃতি ইরানি আজম খানের আপত্তিকর বক্তব্যের উল্লেখ করেন। স্মৃতি, রমা দেবীকে করা আজম খানের মন্তব্যকে ‘কলঙ্ক’ বলে বর্ণিত করেন। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, “এটা সকল আইনপ্রণেতাদের কাছে কলঙ্কের। পুরুষদের কাছেও এটা কলঙ্কেরই। আমরা এরপর কোনও ভাবেই নির্বাক দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারব না। আমাদের একসঙ্গে বলতে হবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিন তালাক নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় স্মৃতি ইরানি আজম খানের আপত্তিকর বক্তব্যের উল্লেখ করেন। স্মৃতি, রমা দেবীকে করা আজম খানের মন্তব্যকে ‘কলঙ্ক’ বলে বর্ণিত করেন। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, “এটা সকল আইনপ্রণেতাদের কাছে কলঙ্কের। পুরুষদের কাছেও এটা কলঙ্কেরই। আমরা এরপর কোনও ভাবেই নির্বাক দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারব না। আমাদের একসঙ্গে বলতে হবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”
আজম খানের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। সংসদে তিনি বলেন, “মহিলাদের সম্মানহানিকারক যে কাউর বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যারা অতীতে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তাঁদের কথাও সংসদে বলা উচিত।”
আজম খানের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। সংসদে তিনি বলেন, “মহিলাদের সম্মানহানিকারক যে কাউর বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যারা অতীতে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তাঁদের কথাও সংসদে বলা উচিত।”
আজম খানের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন এনসিপি নেতা সুপ্রিয় সুলে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেডি সাংসদ বি মেহতাবও।
আজম খানের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন এনসিপি নেতা সুপ্রিয় সুলে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেডি সাংসদ বি মেহতাবও।
এই ইস্যুতে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, “আজম খানের মন্তব্য স্রেফ মহিলার সম্মানজনিত বিষয় নয়। এটা গোটা সংসদেরও সম্মানের বিষয়। খান (আজম) সংসদের ঐতিহ্যের অবমাননা করেছেন এবং তাঁর উচিত ক্ষমা চাওয়া।” এখানেই শেষ নয়। আরও একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন আজম খানের সংসদীয় শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “সংসদে রমা দেবীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করার পর তাঁকে বোন বলে সম্বোধন করেছেন খান। কিন্তু তিনি যে শায়েরি বলছিলেন, তা তাঁর বোনকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন না। তাঁর আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।”
রমা দেবীর বক্তব্য, “আজম খান কখনও কোনও মহিলাকে সম্মান করেননি। আমরা সবাই জানি, জয়াপ্রদাকে নিয়ে ও কী মন্তব্য করেছিল। লোকসভায় থাকার কোনও অধিকারই ওনার নেই। আমি চাই স্পিকার ওঁকে বহিষ্কার করুক”।
আজম খানের বক্তব্যে লোকসভায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। সংসদে মিমি বলেন, “আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল, লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেউ এমন মন্তব্য করতে পারেন না। মাননীয় স্পিকার, গোটা সংসদ এই বিষয়ে আপনার থেকে কড়া পদক্ষেপ আশা করছে।”
আজম খানের বিরুদ্ধে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’-র পথে হাঁটতে পারে সংসদ। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আজম খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ঠিক হবে সর্বদলীয় বৈঠকের পর।

पार्श्वभूमी

 


বিতর্কিত মন্তব্য করে এবার আরও একবার কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সাংসদ আজম খান। ভোটের আগেও বিজেপির তারকা প্রার্থী জয়াপ্রদাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শাস্তির মুখে পড়েছিলেন আজম খান। ৯ বারের এই সাংসদের নিশানায় এবার বিহারের শেওহার লোকসভা কেন্দ্র থকে জয়ী রমা দেবী। সংসদ চলাকালীন তাঁর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করায় আজম খানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি সহ এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেডি-র মতো একাধিক দল। মহিলা সাংসদদের একাংশ আজম খানের শাস্তি চেয়ে লোকসভায় সরব হয়েছেন। এই ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা।   

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.