live updates: গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম উন্নাওয়ের ধর্ষিতা, আইনজীবী 'সঙ্কটজনক', বিজেপি বিধায়ক শেনগারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা

নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ তুলেছে উন্নাওয়ের বঙ্গারমৌয়ের বিজেপি বিধায়ক সেনগারের দিকে। তিনি ষড়যন্ত্র করে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাদের দাবি। বর্তমান সেনগার আছেন সীতাপুরের জেলে। উন্নাওয়ে নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেছেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে মামলা চালিয়ে যেতে বিরত রাখতেই বিধায়ক, তাঁর সঙ্গীসাথীরা দুর্ঘটনার ছক করেছেন। গ্রামের সকলেই জানত ওরা রায়বেরিলির জেলে যাবে।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 29 Jul 2019 08:20 PM
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের হল কুলদীপ সিংহ সেনগারের বিরুদ্ধে। উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনে হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতার পরিবার এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছে।
এব্যাপারে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, বিজেপি বিধায়ক সহ ১০ জন ও আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৫০৬ (ফৌজদারি ভীতিপ্রদর্শন), ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই ১০জনের নামের তালিকায় আছেন সেনগার। ফলে নিঃসন্দেহে তিনি অস্বস্তিতে পড়লেন।
নির্যাতিতার কাকার অভিযোগক্রমে দায়ের হয়েছে ওই এফআইআর। কাকা একটি খুনের মামলায় রায়বেরিলির জেলে আছেন। মেয়েটির পরিবারের ওপর মামলায় বয়ান বদলাতে চাপ দেওয়ার জন্য সেনগারের অনুগামী, সমর্থকরা তাদের ফোন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন, আমি নিশ্চিত, বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর লোকজনের ছক মতো ওদের মেরে ফেলতেই গাড়িতে ধাক্কা মারা হয়েছে। ধর্ষিতার মা-ও দাবি করেছেন, তাঁদের গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। তিনি বলেছেন, মামলার এক অভিযুক্তের ছেলে শাহি সিংহ ও গ্রামের আরেক যুবক হুমকি দিয়েছে, আমাদের দেখে নেবে!
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়ি দুর্ঘটনার ব্যাপারে এফআইআরে দশজনের নাম আছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগার। নির্যাতিতার মা, পরিবারের দাবি, এটা স্রেফ দুর্ঘটনা নয়, চক্রান্ত করে ঘটানো হয়েছে, যাতে সামিল সেনগার।
নির্যাতিতাকে সোমবার লখনউয়ের হাসপাতালে দেখতে যান দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। পরে তিনি ট্যুইট করেন, উন্নাওয়ের ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতা, তার আইনজীবী, ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করেছি। ডাক্তাররা আমায় বলেছেন, মেয়েটি, তার আইনজীবীর অবস্থা সঙ্কটজনক, বাঁচার আশা ক্ষীণ। ওদের অবিলম্বে বিমানে উড়িয়ে দিল্লির সবচেয়ে সেরা হাসপাতালে পাঠানো উচিত বলে অভিমত ডাক্তারদের। মেয়েটির পরিবারও তাই চায়। হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেব।
যোগী আদিত্যনাথ প্রসাশনের কেউ এখনও পর্যন্ত মেয়েটিকে দেখতে আসেনি বলেও স্বাতী জানান। উত্তরপ্রদেশেক মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তিনি ট্যুইট করেন, ডিজিপি বলছেন, এটা দুর্ঘটনা। যোগী আদিত্যনাথ, হাসপাতালে আসুন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়ে সেনগারকে ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। ওনার বিধায়ক পদ এখনই বাতিল করা উচিত। আজ উনি ছাড়া পেয়ে গেলে দেশের নির্ভয়ারা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

গত বছরের ৮ এপ্রিল উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। বিজেপি বিধায়ক তাকে ধর্ষণ করেছেন, কিন্তু থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের লখনউয়ের বাসভবনের বাইরে মেয়েটি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার পরিবারের অভিযোগ, তাকে ২০১৭ সালে কাজ জোগাড় করে দেওয়ার অছিলায় উন্নাওয়ের ওই বিধায়কের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন জনৈক শশী সিংহ। সেখানেই বিধায়ক তাকে ধর্ষণ করেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে তিনি ও তাঁর সঙ্গী জয়দীপ সিংহ ওরফে অতুল সিংহ, আরও অনেকে তার বাবাকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ নিগৃহীতার। মেয়েটির আরও দাবি, তার বাবাকে শারীরিক নিগ্রহের ভুয়ো মামলা, অস্ত্র আইনেও ফাঁসানো হয়। বাবাকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হয়। সেখানে ৮ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন তিনি মারা যান। নির্যাতিতার গত বছর থেকে কারাবন্দি ৪৭ বছর বয়সি কাকাকে ৫ মাস আগে উন্নাও থেকে রায়বেরিলির জেলে ‘প্রশাসনিক কারণে’ সরানো হয়। গত ৩ জুলাই উন্নাওয়ের স্থানীয় আদালত ২০০০ সালের এক খুনের চেষ্টার মামলায় ১০ বছর কারাদন্ড দিয়েছিল তাকে।

पार्श्वभूमी

লখনউ: উন্নাওয়ে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগারের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলা তরুণীর গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার খবরে শোরগোল। রবিবার দুপুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় তরুণী ও তাঁর আইনজীবী জখম হয়েছেন। নিহত হয়েছেন নির্যাতিতার দুই আত্মীয়া। তাঁরা যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, রায়বেরিলির গুরুবক্সগঞ্জে একটি ট্রাকের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী ও বাকিরা যাচ্ছিলেন রায়বেরিলি জেলার কারাগারে। সেখানে আছেন তরুণীর কাকা। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন ওই আইনজীবী।
গাড়ির নিহত দুই মহিলা ১৯ বছরের ধর্ষিতার কাকিমা বলে নিশ্চিত করেছেন লখনউ জোনের পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কৃষ্ণ। ধর্ষিতা ও তাঁর আইনজীবীর চিকিত্সা চলছে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ট্রমা সেন্টারে। দুজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন রায়বেরিলির এএসপি শশী শেখর সিংহ।
নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগের আঙুল তুলেছে উন্নাওয়ের বঙ্গারমৌয়ের বিজেপি বিধায়ক সেনগারের দিকে। তিনি ষড়যন্ত্র করে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাদের দাবি। বর্তমান সেনগার আছেন সীতাপুরের জেলে। উন্নাওয়ে নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেছেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতেই বিধায়ক, তাঁর সঙ্গীসাথীরা দুর্ঘটনার ছক করেছেন। গ্রামের সকলেই জানত ওরা রায়বেরিলির জেলে যাবে।
কেন ধর্ষিতার জন্য নিযুক্ত হওয়া নিরাপত্তাকর্মী রবিবার তার সঙ্গে ছিল না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ও পি সিংহের দাবি, তার নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি হয়নি। গাড়িতে সবার জায়গা হবে না বলে মেয়েটি নিজেই তার জন্য নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে না পাঠানোর অনুরোধ করেছিল। আমরা নিরপেক্ষ, স্বাধীন তদন্ত করব। প্রাথমিক তদন্তে এটা নিছক দুর্ঘটনাই, অতিরিক্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রাকের জন্য। তবে পরিবারটি চাইলে আমরা মামলাটি তাদের হাতে তুলে দেব।

নে

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.