live updates: ৩৭০ ধারা: কাল জম্মু ও কাশ্মীরে ‘দমনমূলক ব্যবস্থা’র বিরুদ্ধে পিটিশনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, ভারত-বিরোধী প্রচারের অভিযোগে সাসপেন্ড চারটি ট্যুইটার হ্যান্ডল

পুনাওয়ালার বক্তব্য, তিনি ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও মতামত দিচ্ছেন না, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে কার্ফু বা বিধিনিষেধ ও ফোন লাইন, ইন্টারনেট পরিষেবা ও খবরের চ্যানেল ব্লক করে দেওয়ার মতো অন্যান্য ‘দমনপীড়নমূলক’ পদক্ষেপের প্রত্যাহার চাইছেন।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 12 Aug 2019 09:28 PM
আকাশপথে শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা অজিত ডোভাল। সোমবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইদ পালিত হয় কাশ্মীর উপত্যকায়। কোনও হিংসা, অশান্তি হয়নি। তবে উত্সাহ, উদ্দীপনা তেমন তীব্র ছিল না। জম্মুতেও ৫ হাজারের বেশি মানুষ ইদের প্রার্থনায় সামিল হন। রাজ্য পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংহ ও সেনা কমান্ডারাও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন আকাশপথে।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-বিরোধী প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে চারটি ট্যুইটার হ্যান্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির সুপারিশ, অনুরোধে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ করেছে। আরও চারটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ থাকায় শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে খবর। সেগুলি ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জনৈক ট্যুইটার মুখপাত্র বলেন, গোপনীয়তা রক্ষায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিয়ে মন্তব্য করি না। আমাদের ট্যুইটার ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বছরে দুবার ট্যুইটারকে পাঠানো আইনি অনুরোধ প্রকাশ করা হয়। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও ভারত-বিরোধী প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে ওই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে।
একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রক ট্যুইটারকে লিখিত ভাবে আধ ডজনের বেশি অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করতে বলেছে। সেগুলি থেকে কুত্সামূলক প্রচার চলছিল জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে, বলেছে মন্ত্রক। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৬৯ (এ) ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্ত্রকের ধারণা, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে ওই ট্যুইটার হ্যান্ডলগুলি থেকে ভারতবিরোধী প্রচার করছে।

पार्श्वभूमी

নয়াদিল্লি: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রের যাতায়াত, যোগাযোগে বিধিনিষেধ জারির সিদ্ধান্ত ও ‘অন্যান্য দমনমূলক পদক্ষেপে’র বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা তেহসিন পুনাওয়ালার পিটিশনের মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। তিন বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এম আর শাহ ও অজয় রাস্তোগির বেঞ্চে সেটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। পুনাওয়ালার বক্তব্য, তিনি ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও মতামত দিচ্ছেন না, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে কার্ফু বা বিধিনিষেধ ও ফোন লাইন, ইন্টারনেট পরিষেবা ও খবরের চ্যানেল ব্লক করে দেওয়ার মতো অন্যান্য ‘দমনপীড়নমূলক’ পদক্ষেপের প্রত্যাহার চাইছেন। অজ্ঞাত স্থানে আটক দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ নেতাদের মুক্তির নির্দেশ দিতেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন পুনাওয়ালা। জম্মু ও কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবিও করেছেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত কেন্দ্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে সংবিধানের ১৯ ও ২১ অনুচ্ছেদে সুরক্ষিত মৌলবাদী অধিকারগুলি খর্ব হয়েছে বলেও সওয়াল করেছেন পুনাওয়ালা। তিনি বলেছেন, ফৌজদারি প্রক্রিয়া কোড ১৯৭৩ এর আওতায় অবাঞ্ছিত ভাবে কার্ফু বা নিষেধাজ্ঞা চাপানো, আগাম ধরপাকড়, ফোন লাইন ছিন্ন করা, ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা, মিডিয়ার কণ্ঠরোধ, জস্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক, সরকারি দপ্তর, দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য মৌলিক পরিষেবা বন্ধ রাখার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে। সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে বা অন্য কোনও কারণে যখন কোনও সংগঠিত বা হিংসাত্মক প্রতিবাদের কোনও খবরই নেই, তখন কার্যত অবরুদ্ধ করে রোজ জওয়ান সংখ্যা বাড়িয়ে গোটা রাজ্যকে জেলখানা বানানো হয়েছে। পুনাওয়ালার আবেদন, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র, জম্মু ও কাশ্মীরকে জানাতে বলুক, কোন অধিকারে তারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক ও রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতারি সমেত এমন কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেফতারি হয়তো একেবারে যুক্তিযুক্ত, কিন্তু যে মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা রাজ্যের ভারতে অন্তর্ভুক্তির জন্য নিজেদের ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও একই আচরণ অত্যন্ত নিন্দার।
এদিকে রাজ্যে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সাংবাদিকদের কাজকর্মের ওপর বিধিনিষেধ জারির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে কাশ্মীর টাইমস-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিনের পৃথক পিটিশনের দ্রুত শুনানির জন্য তালিকাভুক্তি চেয়েও কাল উল্লেখ করা হতে পারে।
ভাসিন, পুনাওয়ালার পাশাপাশি ন্যাশনাল কনফারেন্সও শীর্ষ আদালতে পিটিশন ঠুকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদায় বদলকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছে, এভাবে তাদের মতামত না নিয়েই রাজ্যবাসীর অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।


- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.