live updates: কমিটি গড়বেন মোদি, সর্বদলে আসা বেশিরভাগ দলই 'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রস্তাব সমর্থন করেছে, দাবি রাজনাথের, সমর্থনের সুর কং নেতা মিলিন্দ দেওরার
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তিনি বৈঠকে যাবেন না। তাঁর প্রস্তাব, সারা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ইস্যুতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং সব দলকে শ্বেতপত্র পাঠানো হোক।
সর্বদল বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দেশ, এক নির্বাচন ইস্যুতে সময় বেঁধে সুপারিশ, প্রস্তাব দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করবেন। আজকের সর্বদল বৈঠকে গরহাজির ছিল একাধিক বিরোধী দল। তারা এক দেশ, এক ভোট অর্থাত গোটা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ভাবনাই সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনাথ দাবি করেন, যেসব দল বৈঠকে অংশ নিয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই একসঙ্গে সব নির্বাচন করার প্রস্তাব সমর্থন করেছে। রাজনাথ এও বলেন, সিপিআই ও সিপিএমের কীভাবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করা হবে, সে ব্যাপারে ‘ভিন্নমত’ থাকলেও তারা মূল ভাবনাটির বিরোধী নয়। প্রস্তাবিত কমিটির গঠন, চেহারা কী হবে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রীই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি: এক দেশ, এক নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাচ্ছে না কংগ্রেসও। সংসদে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা করার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার জন্য মোদির বৈঠকে গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা এই প্রস্তাবেরই বিরোধী। কংগ্রেসও একসঙ্গে সব ভোট করার ভাবনার পক্ষে নয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল, বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সভানেত্রী মায়াবতী সেই বিরোধী নেতাদের দলে সামিল হয়েছেন, যাঁরা আজকের সর্বদলে যাচ্ছেন না। সমাজবাদী পার্টি (সপা)ও লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার পক্ষপাতী নয়, এদিনের বৈঠকে যাবে না বলে শোনা যাচ্ছে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর), ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনও যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে সূত্র।
যদিও এও শোনা যাচ্ছে যে, কেজরিবাল না গেলেও তাঁর আমআদমি পার্টি (আপ)র হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করছেন রাঘব চাড্ডা। অন্যদিকে কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) হয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে কে টি রাম রাও।
এনসিপি সভাপতি শারদ পওয়ার, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডুও সম্ভবত যাচ্ছেন না। যদিও বাম দলগুলি মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে যোগদান করতে পারে বলে খবর। জনৈক বাম নেতা অবশ্য বলেছেন, আমরা বৈঠকে থেকে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করব।
গতকালই সংসদে ইউপিএ-র শরিক দলগুলি বৈঠকে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তিনি বৈঠকে যাবেন না। সারা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ইস্যুতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং সব দলকে শ্বেতপত্র পাঠানো হোক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -