live updates: কমিটি গড়বেন মোদি, সর্বদলে আসা বেশিরভাগ দলই 'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রস্তাব সমর্থন করেছে, দাবি রাজনাথের, সমর্থনের সুর কং নেতা মিলিন্দ দেওরার
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তিনি বৈঠকে যাবেন না। তাঁর প্রস্তাব, সারা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ইস্যুতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং সব দলকে শ্বেতপত্র পাঠানো হোক।
एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 19 Jun 2019 09:18 PM
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি: এক দেশ, এক নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাচ্ছে না কংগ্রেসও। সংসদে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন...More
নয়াদিল্লি: এক দেশ, এক নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাচ্ছে না কংগ্রেসও। সংসদে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা করার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার জন্য মোদির বৈঠকে গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা এই প্রস্তাবেরই বিরোধী। কংগ্রেসও একসঙ্গে সব ভোট করার ভাবনার পক্ষে নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল, বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সভানেত্রী মায়াবতী সেই বিরোধী নেতাদের দলে সামিল হয়েছেন, যাঁরা আজকের সর্বদলে যাচ্ছেন না। সমাজবাদী পার্টি (সপা)ও লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার পক্ষপাতী নয়, এদিনের বৈঠকে যাবে না বলে শোনা যাচ্ছে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর), ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিনও যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে সূত্র। যদিও এও শোনা যাচ্ছে যে, কেজরিবাল না গেলেও তাঁর আমআদমি পার্টি (আপ)র হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করছেন রাঘব চাড্ডা। অন্যদিকে কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) হয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে কে টি রাম রাও। এনসিপি সভাপতি শারদ পওয়ার, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডুও সম্ভবত যাচ্ছেন না। যদিও বাম দলগুলি মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে যোগদান করতে পারে বলে খবর। জনৈক বাম নেতা অবশ্য বলেছেন, আমরা বৈঠকে থেকে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করব।গতকালই সংসদে ইউপিএ-র শরিক দলগুলি বৈঠকে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তিনি বৈঠকে যাবেন না। সারা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর ইস্যুতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং সব দলকে শ্বেতপত্র পাঠানো হোক।
= liveblogState.currentOffset ? 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow hidden' : 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow'">
কংগ্রেস এক দেশ, এক নির্বাচন অর্থাত সারা দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে না গেলেও দলের মুম্বই শাখার সভাপতি মিলিন্দ দেওরার বক্তব্যে সরকারি উদ্যোগে সমর্থনের ইঙ্গিত। তিনি এ নিয়ে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বলেছেন, একটার পর একটা নির্বাচন লেগেই থাকলে সেটা সুশাসনের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, রাজনীতিকদের মন সত্যিকারের ইস্যুগুলি থেকে দূরে সরে যায়। এক দেশ, এক ভোট প্রস্তাবকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সংস্কার বলে উল্লেখ করে দেওরা বলেন, সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে এগনো। সরকার বুদ্ধিজীবী, নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলি ও ছাত্রছাত্রীদের মতামতও গ্রহণ করুক। তিনি বিবৃতিতে বলেন, এটা দু্র্ভাগ্যজনক যে, দেশের রাজনৈতিক শ্রেণি, আমিও যার অংশ, দ্রুত বিতর্ক, আলাপ-আলোচনা, মতামত বিনিময়ের শৈলী ভুলে যাচ্ছে। আমার মতে এটা ভারতের গণতান্ত্রিক চরিত্রের সামনে বিরাট বিপদ। তিনি এও বলেন, তিনি এখনও এমন কোনও প্রমাণ পাননি যা থেকে বলা যায় যে, একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হলে কেন্দ্রের শাসক দলের লাভ হয়। সম্প্রতি লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িষা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হল। তিনটির মধ্যে দুটি রাজ্যে যারা জিতল, তারা বিজেপির জোটেই নেই!