live updates: গাড়ি থেকে বুলেট ট্রেন, ভারত-জাপান সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে, প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় বললেন মোদি, উঠল 'বন্দেমাতরম', 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান

‘নয়া ভারতে’ দুটি দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও উল্লেখ করেন মোদি। বলেন, বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাপানের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। এই সম্পর্ক কয়েক শতকের। পরস্পরের সংস্কৃতি, সভ্যতাকে সম্মান করা, শুভেচ্ছা, সৌহার্দ্য, নিজের বলে অনুভব করার ব্যাপার আছে।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 27 Jun 2019 06:59 PM


প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হতেই হাইগো প্রিফেকচার গেস্ট হাউসে বন্দেমাতরম, জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। সেখানে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। মোদি বলেন, সাত মাস বাদে আবার এখানে আসার সৌভাগ্য হল। কাকতালীয় ভাবে শেষ যখন আসি, এখানে নির্বাচনের ফল বেরয়, আপনারা আমার প্রিয় বন্ধু শিনজো আবের ওপর আস্থা দেখিয়েছিলেন। আজ আমি যখন এখানে এসেছি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র এই প্রধান সেবকের ওপর আরও গভীর আস্থা দেখিয়েছে।
সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা মেলে। নতুন ভারতের আশা-প্রত্যাশা পূরণে আমরা যে জনাদেশ পেয়েছি, তা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের প্রসারে সাহায্য করবে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাস-এর যে নীতি আমরা মানছি, তা ভারতের ওপর বিশ্বের বিশ্বাস, ভরসা বাড়াবে।
মোদি আরও বলেন, দিল্লি ও আমদাবাদের পাশাপাশি আবেকে বারাণসী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। আমার লোকসভা কেন্দ্র উনি ঘুরে দেখেন, সেখানে গঙ্গা আরতিতেও যোগ দেন। সুযোগ পেলেই তিনি সেই স্বর্গীয় অনুভূতির কথা বলেন।
মোদি ভাষণে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গাঁধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল ও আরও অনেক ভারতীয়ের কথা বলেন। বলেন, অনেক ভারতীয় জাপানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করেছেন এবং সেজন্যই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারত-জাপান মৈত্রী নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এও বলেন, ২০১৪য় আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুযোগ পাই, প্রধানমন্ত্রী আবেকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ককে পুঁজি, রাষ্ট্রদূতদের গন্ডি থেকে বের করে সরাসরি মানুষের কাছে নিয়ে যাই। আবেকে তিনি ‘প্রিয় বন্ধু’ বলেও উল্লেখ করেন।

पार्श्वभूमी

কোবে: জাপান সফরে গিয়ে ভারতের সঙ্গে সে দেশের বন্ধুত্ব, বোঝাপড়ার নানা দিক উল্লেখ করলেন নরেন্দ্র মোদি। বললেন, দুটি দেশের সম্পর্ক সেদিন থেকেই আরও মজবুত হয়েছে, যেদিন তারা গাড়ি নির্মাণ থেকে এগিয়ে গিয়ে একযোগে বুলেট ট্রেন তৈরির জন্য হাত মিলিয়েছে। ভারতের আর্থিক উন্নতির পিছনে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে কোবে শহরের প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতে বলেন তিনি। জাপানের আরেক শহর ওসাকায় জি-২০ সামিট যোগ দিতে এসেছেন মোদি। শুক্রবার থেকে শুরু শীর্ষ বৈঠক। জমায়েতে প্রবাসীরা তাঁকে বিপুল অভ্যর্থনা জানান।
ভারত আগামী ৫ বছরে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণের অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্যে এগচ্ছে আর তাই জাপানের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও চাঙ্গা হতে চলেছে বলেও অভিমত জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, একটা সময় আমরা গাড়ি নির্মাণে সহযোগিতা করেছি। আজ আমরা বুলেট ট্রেন নির্মাণে হাত মিলিয়েছি। আজ ভারতের এমন কোনও এলাকা নেই যেখানে জাপানের বিনিয়োগ বা প্রকল্পের উপস্থিতি নেই। একইভাবে ভারতের মেধা, মানবশক্তি জাপানকে শক্তিশালী করায় অবদান রাখছে। জাপানের সহায়তায় ভারতে মুম্বই ও আমদাবাদের মধ্যে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর কথা। প্রকল্পের প্রথম ধাপ ২০২২ নাগাদ শেষ হতে পারে। ৫০৮ কিমি প্রকল্পটির জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কোঅপারেশন লিমিটেড।
‘নয়া ভারতে’ দুটি দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও উল্লেখ করেন মোদি। বলেন, বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাপানের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। এই সম্পর্ক কয়েক শতকের। পরস্পরের সংস্কৃতি, সভ্যতাকে সম্মান করা, শুভেচ্ছা, সৌহার্দ্য, নিজের বলে অনুভব করার ব্যাপার আছে। প্রায় ২ দশক আগে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি, তত্কালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিরো মোরি আমাদের সম্পর্ককে বিশ্ব পার্টনারশিপে উন্নীত করেছিলেন। ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ পাই। এই সম্পর্ক নতুন ভারতে আরও জোরদার হবে।
ভারতের সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন বলে উল্লেখ করে প্রবাসী ভারতীয়দেরও ধন্যবাদ দেন মোদি। বলেন, জাপান থেকে যেমন বহু ভারতীয় ভারতে কর্মসূত্রে এসেছিলেন, তেমনই অনেকে ট্যুইটারের মতো সোস্যাল মিডিয়ায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ৬১ কোটির বেশি ভোটার, ১০ লক্ষ বুথ, ৪০ লক্ষের বেশি ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে, ৮ হাজারের বেশি প্রার্থী অংশ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এও বলেন, লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চিন বাদে বাকি প্রায় সব দেশের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.