LIVE UPDATES: বাজেট 'ভিশনলেস', ট্যুইট মমতার, পেট্রল, ডিজেলের দামবৃদ্ধিকে অস্ত্র করে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেসের

অর্থমন্ত্রীর কাছে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল রাজস্ব বিশেষত জিএসটি আদায়ের বিশেষ বৃদ্ধি না হওয়া। সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করে ও ভর্তুকি কমানোর মত পদক্ষেপ করে তিনি বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 05 Jul 2019 06:45 PM





বিরোধী শিবির নির্মলা সীতারামনের বাজেট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেটকে দিশাহীন, অন্তর্দৃষ্টিহীন বলেছেন। ট্যুইটে তিনি বলেছেন, ২০১৯ এর বাজেটের কোনও ভিশন বা দিশা নেই। বস্তুত, এর সামগ্রিক দিশাই বিপথগামী হয়েছে। আর সবার ওপরে শুধু সেসই বসায়নি ওরা, পেট্রল ও ডিজেলের ওপর বাড়তি এক্সাইজ ডিউটিও চাপিয়েছে, যার জেরে পেট্রলের দাম লিটারে প্রায় আড়াই টাকা, ডিজেলে লিটারে ২টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। এর ফলে পরিবহণ থেকে বাজার থেকে রান্নাঘর সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পড়বে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চলতেই থাকবে।




মোদি সরকারকে নিশানা করতে মূলত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সরাসরি এই বাজেটকে দিশাহীন বলেই মন্তব্য করছে। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, সরকার নিজের এজেন্ডা রাখার চেষ্টা করছে, ইলেকট্রিক ভেহিকেল আনবে, আরে এখন যেগুলি চলছে, সেগুলি দেখো না, পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে! তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাজেটকে ধোঁয়াশায় ভরা, দিশাহীন বলে আক্রমণ করে বলেন, এতে বাংলার জন্য কী আছে? বিদেশ থেকে শিক্ষকরা আসবেন, এদেশের পড়ুয়ারা বিদেশে কী সুবিধা পাবে? কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অবশ্য দাবি, বাজেটে মধ্যবিত্তদের কথা যেমন ভাবা হয়েছে, তেমনই জোর দেওয়া হয়েছে দেশের নারী ও শিশুদের সুবিধার দিকগুলিতেও। তিনি বলেন, এটা ভারসাম্যযুক্ত বাজেট। মহিলা ও বাচ্চাদের জন্য বাজেট, মধ্যবিত্তকে যেভাবে করছাড়া দেওয়া হয়েছে, তাতে নতুন ভারত গড়তে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। তবে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের অভিযোগ, বিজেপির কর্পোরেট ঘনিষ্ঠদের সুবিধা করে দিতেই এই বাজেট।
কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষক উন্নয়ন ও দরিদ্রদের সম্মানের সঙ্গে জীবনধারণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়িত হয়েছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণি তাদের প্রাপ্য পেয়েছে ও অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে ভারতীয় শিল্পক্ষেত্রকে। নির্মলা সীতারামনের পেশ করা প্রথম বাজেটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অর্থনীতি, গৃহনির্মাণ, পরিকাঠামো ও সামাজিক ক্ষেত্রে যেভাবে গত ৫ বছরে বিশদে কাজ হয়েছে তা এই বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বাজেট ভবিষ্যৎমুখী, এর ফলে আগামীদিনে ভারত ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলে তাঁর আশা। এছাড়া যেভাবে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, ও দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ভারত শিগগিরই গোটা বিশ্বের স্টার্ট আপ হাব হয়ে উঠবে। এই বাজেট আশা ও সশক্তিকরণের, মন্তব্য করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বাজেটকে নাগরিক বান্ধব বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, এই বাজেট নাগরিক বান্ধব, উন্নয়ন বান্ধব ও ভবিষ্যৎমুখী। এর ফলে দরিদ্রদের সশক্তিকরণ হবে, উপকৃত হবে যুব সমাজ।
এই বাজেট যেভাবে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েছে, তার উল্লেখ করে একে গ্রিন বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই বাজেট কার্যকর হলে সাধারণ মানুষ দেশের উন্নয়নের শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠবেন।
কৃষি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের কথা এতে বলা হয়েছে ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির রাস্তা দেখানো হয়েছে এতে। এর ফলে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে বলে তাঁর আশা।
কেন্দ্রীয় বাজেটকে নাগরিক বান্ধব বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, এই বাজেট নাগরিক বান্ধব, উন্নয়ন বান্ধব ও ভবিষ্যৎমুখী। এর ফলে দরিদ্রদের সশক্তিকরণ হবে, উপকৃত হবে যুব সমাজ।
এই বাজেট যেভাবে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েছে, তার উল্লেখ করে একে গ্রিন বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই বাজেট কার্যকর হলে সাধারণ মানুষ দেশের উন্নয়নের শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠবেন।
কৃষি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের কথা এতে বলা হয়েছে ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির রাস্তা দেখানো হয়েছে এতে। এর ফলে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে বলে তাঁর আশা।
পেট্রোল, ডিজেলের ওপর ১ টাকা সেস বাড়ানো হল, সোনা, দামি ধাতুর ওপর কাস্টমস ডিউটি ১২ শতাংশ করা হল।
যেখানে যেখানে প্যান নম্বর দেওয়ার কথা সেখানে আধার নম্বর দিলেই হবে, ব্যাঙ্ক থেকে ১ কোটির বেশি টাকা তোলা হলে তার ওপর ২% হারে টিডিএস বসবে।
স্টার্ট আপের আয়কর রিটার্নের স্ক্রুটিনি হবে না, শুধু ই ভেরিফিকেশন হবে। ৪৫ লাখ মূল্যের বাড়ি কিনলে সাড়ে তিনলাখ ছাড়, বাড়ি কেনার জন্য ঋণের ওপর দেড়লক্ষ টাকা ছাড়, চালু থাকবে ২০২০ পর্যন্ত।
মিডিয়া, বিমান পরিবহণ, বিমা ও সিঙ্গল ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় এফডিআই সংক্রান্ত নিয়মনীতি শিথিলের প্রস্তাব নির্মলার, ৪০০ কোটি টাকা টার্নওভারের কোম্পানির ওপর ২৫ শতাংশ কর, আগে এই ছাড় দেওয়া হত ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের কোম্পানিকে।
সারা দেশের জন্য একটিই গ্রিড তৈরি হবে যেমন বিদ্যুৎ গ্রিড, জলের গ্রিড ইত্যাদি। পুরনো গ্যাস প্ল্যান্ট বাতিল করা হবে। ৫৯ সেকেন্ডে ১ কোটি পর্যন্ত ঋণের সংস্থান, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ সাধারণের মধ্যে বিক্রি করা হবে।
বাস, মেট্রো ইত্যাদি পরিবহণ ব্যবহারের জন্য একটাই কার্ড আনা হবে। ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরিতে। ৩০০ কিলোমিটার নতুন মেট্রোরেলের রাস্তার প্রস্তাব।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে চেষ্টা করছি, চাই ব্লু ইকোনমি, আধুনিক উপগ্রহ প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য, বললেন অর্থমন্ত্রী।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে ঘরে ঘরে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ওপর। এ জন্য আজ বাজেটে জল জীবন মিশন প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই প্রকল্পে নল সে জল নামে এক বিশেষ যোজনা থাকতে পারে। যার লক্ষ্য ২০২৪-এর মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে পাইপের মাধ্যমে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য এবারের বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতে পারে।

पार्श्वभूमी

নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম বাজেট আজ পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ভোটে বিরাট জয় পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের প্রতি এবার সাধারণ মানুষের বিপুল প্রত্যাশা রয়েছে। আর সেই প্রত্যাশা পূরণের ভার নির্মলার ওপর।

বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে বাজেট পেশ। রেল বাজেটও পেশ হবে আজই। আগে কেন্দ্রীয় বাজেট ও রেল বাজেট ভিন্ন ভিন্ন দিনে পেশ করার রীতি ছিল, নিয়ম পাল্টেছে ২০১৬ সাল থেকে। এবার দেখে নেওয়া যাক সীতারামনের কাছে বাজেট প্রত্যাশা-

অর্থমন্ত্রীর কাছে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল রাজস্ব বিশেষত জিএসটি আদায়ের বিশেষ বৃদ্ধি না হওয়া। সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করে ও ভর্তুকি কমানোর মত পদক্ষেপ করে তিনি বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। ২০২৫-এর মধ্যে ভারতীয় অর্থব্যবস্থাকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মোদি সরকার। সে জন্য রাস্তা, রেলওয়ের মত পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বড়রকম জোর দিতে পারেন নয়া অর্থমন্ত্রী, ২০১৯-এর প্রথম ৩ মাসে এই সব ক্ষেত্রে বৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ যা গত ৫ বছরে সর্বনিম্ন। আইআইপি ও অটোমোবাইল ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির ধীর গতি বিশেষজ্ঞদের চিন্তার কারণ।

অনেকে আবার মনে করছেন, ব্যক্তিগত করছাড়ের মাত্রা বাড়িয়ে নয়া অর্থমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারেন। পাশাপাশি জোর দিতে পারেন কৃষি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে।      


- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.