Live updates: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের, চিদম্বরমের বাসভবনে সিবিআই, ইডি
শুনানির সময় সিবিআই, ইডি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অনেক কিছু এড়িয়ে গিয়েছেন বলে তাঁকে হেপাজতে রেখে জেরা করা প্রয়োজন।
एबीपी माझा वेब टीम Last Updated: 20 Aug 2019 07:55 PM
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুর্নীতি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি সুনীল গৌর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শীর্ষ কংগ্রেস নেতার...More
নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুর্নীতি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি সুনীল গৌর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শীর্ষ কংগ্রেস নেতার আর্জি নাকচ করেন মঙ্গলবার। সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), দুই সংস্থাই এই মামলার তদন্ত করছে। এ বছরের ২৫ জানুয়ারি রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। ২০১৭-র ১৫ মে সিবিআই এ ব্যাপারে এফআইআর দায়ের করেছিল। চিদম্বরম ইউপিএ আমলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ওই মিডিয়া গোষ্ঠীকে এফআইপিবি ছাড়পত্র দেওয়ায় অনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার। ২০১৮-য় এ ব্যাপারে বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)ও। বিচারপতি গৌর বলেন, দুটি পিটিশনই (সিবিআই ও ইডি মামলা) খারিজ করা হল। পাল্টা আবেদন করার জন্য আদালতের রায়ের পর চিদম্বরমের আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণাণ তিনদিন রায় কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ চাইলে আদালত জানায়, আবেদন খতিয়ে দেখে রায় দেওয়া হবে। শুনানির সময় সিবিআই, ইডি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অনেক কিছু এড়িয়ে গিয়েছেন বলে তাঁকে হেপাজতে রেখে জেরা করা প্রয়োজন। দুটি তদন্তকারী সংস্থাই আদালতে জানায়, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ওই মিডিয়া গোষ্ঠীকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ইডি-র দাবি, যে কোম্পানিগুলিতে বিদেশ থেকে অর্থ ঢুকেছে, সেগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন চিদম্বরমের ছেলে কার্তি এবং এটা বিশ্বাস করার মতো কারণ আছে যে, চিদম্বরমের ছেলের হস্তক্ষেপের জন্যই আইএনএক্স মিডিয়াকে এফআইপিবি ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিচারপতি গৌর রায় দিয়ে মন্তব্য করেন, এটা জামিন মঞ্জুর করার যথার্থ মামলা নয়। এটা বেআইনি অর্থ লেনদেনের আদর্শ নমুনা। দুটি মামলায় হাইকোর্ট চিদম্বরমকে ২০১৮-র ২৫ জুলাই গ্রেফতারির হাত থেকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দিয়েছিল, যা সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ডিল ও ৩০৫ কোটি টাকার আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমের ভূমিকা বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার অনুসন্ধানের আওতায় আসে।চিদম্বরমের পিটিশনে বলা হয়, ইডি এই মামলায় তাঁকে কোনও সমন না পাঠালেও সিবিআই সমন পাঠানোয় তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন।
= liveblogState.currentOffset ? 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow hidden' : 'uk-card uk-card-default uk-card-body uk-padding-small _box_shadow'">
সন্ধ্যায় চিদম্বরমের বাসভবনে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। যদিও তারা ফিরে যায় তিনি সে সময় বাসভবনে না থাকায়। পরে ইডি-র একটি টিমও সেখানে যায়। আগাম জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে নাকচ হওয়ায় তাঁর গ্রেফতারির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই দুটি তদন্ত সংস্থার লোকজন চিদম্বরমের বাসভবনে যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, চিদম্বরম হাইকোর্টের রায় বেরনোর পর থেকেই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাননি।