LIVE UPDATE: প্রয়াত অরুণ জেটলি, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া
শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতার জেরে ৯ তারিখ এইমসে ভর্তি হন তিনি। তখন থেকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিলেন।
एबीपी माझा वेब टीमLast Updated: 24 Aug 2019 09:43 PM
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি: মারা গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতার জেরে ৯ তারিখ এইমসে ভর্তি হন তিনি। তখন থেকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিলেন।কিছুদিন...More
নয়াদিল্লি: মারা গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতার জেরে ৯ তারিখ এইমসে ভর্তি হন তিনি। তখন থেকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিলেন।কিছুদিন ধরে জেটলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। গতকাল থেকে তাঁর ব্যাপারে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ বন্ধ করে দেয় এইমস। আজ সকাল থেকে আরও জটিল হয় পরিস্থিতি। শেষমেষ বেলা ১২টা ৭ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মুখ।গতকাল রাতে তাঁকে হাসপাতালে দেখে যান উমা ভারতী। এর আগে ঘুরে যান লালকৃষ্ণ আডবাণী, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াল, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, মানেকা গাঁধী প্রমুখ।
কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর প্রতি জেটলির অভিভাবকসুলভ ব্যবহারের ঘটনার কথা জানিয়ে ট্যুইটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। দেওরা বলেছেন, ‘যখন আমি জাহাজমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম তখন ওই মন্ত্রকের বিষয় নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা হয়েছিল। প্রাক্তন জাহাজ মন্ত্রী ও বিরোধী নেতা হিসেবে অরুণ জেটলি বলেছিলেন যে, তিনি আমাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করবেন। এতে আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু বিতর্কের পর তিনি বলেছিলেন, মিলিন্দ, ওয়েল ডান। তিনি এভাবেই আমার মতো তরুণ সাংসদদের মনোবল বাড়াতেন।‘
অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ট্যুইট করে রাহুল বলেছেন, অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
অরুণ জেটলির দেহ এইমস থেকে দিল্লির কৈলাশ কলোনিতে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হল। রাত ১০ টা পর্যন্ত এখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানো যাবে। আগামীকাল রবিবার সকাল ১১ থেকে ১ টা পর্যন্ত বিজেপির সদর দফতরে শায়িত থাকবে প্রয়াত নেতার দেহ। জানা গেছে, কাল দুপুর দেড়টায় শুরু হবে তাঁর শেষযাত্রা। বিজেপি দফতর থেকে তাঁর দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে নিগমবোধ ঘাটে।
অরুণ জেটলির দেহ এইমস থেকে দিল্লির কৈলাশ কলোনিতে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হল। রাত ১০ টা পর্যন্ত এখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানো যাবে। আগামীকাল রবিবার সকাল ১১ থেকে ১ টা পর্যন্ত বিজেপির সদর দফতরে শায়িত থাকবে প্রয়াত নেতার দেহ। জানা গেছে, কাল দুপুর দেড়টায় শুরু হবে তাঁর শেষযাত্রা। বিজেপি দফতর থেকে তাঁর দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে নিগমবোধ ঘাটে।
দেশ একজন বিশিষ্ট বরিষ্ঠ আইনজীবীকে হারাল। অরুণ জেটলির মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর শোকাহত। দেশের আইনবিভাগের হয়ে আমি তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বললেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
দেশ একজন বিশিষ্ট বরিষ্ঠ আইনজীবীকে হারাল। অরুণ জেটলির মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর শোকাহত। দেশের আইনবিভাগের হয়ে আমি তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বললেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
কাল বেলা ১১টায় তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সেখানে থাকবে দেহ, শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন নেতা, কর্মী, দর্শনার্থীরা। তারপর হবে শেষ যাত্রা।
কাল বেলা ১১টায় তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সেখানে থাকবে দেহ, শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন নেতা, কর্মী, দর্শনার্থীরা। তারপর হবে শেষ যাত্রা।
অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে ফোন করে শোক জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপি ও জেটলির মধ্যে বন্ধন বরাবর অটুট ছিল। ছাত্র নেতা হিসেবে জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে তাঁর রাজনৈতিক দুনিয়ায় উত্থান।
এ বছর মে মাসে তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। তবে গত বছর ১৪ মে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তাঁর। সে সময় তাঁর জায়গায় অর্থমন্ত্রক সামলান রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে বেরিয়াট্রিক সার্জারি করিয়ে তাঁর ওজন কমানো হয়। দীর্ঘদিন ডায়াবিটিসে ভোগার জেরে জেটলির ওজন বেড়ে গিয়েছিল। গত বছর এপ্রিলের শুরু থেকে নর্থ ব্লকের অফিস যাওয়া বন্ধ করে দেন জেটলি। তবে ২০১৮-র ২৩ অগাস্ট আবার ফিরে আসেন অর্থ মন্ত্রকে।