কর্ণাটক সঙ্কট: ‘ঐক্যবদ্ধ আছি, বিধানসভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই’, জানিয়ে দিলেন বিদ্রোহীরা
শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়ে দিল, সময়ের-মধ্যেই স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিদ্রোহীদের ইস্তফা নিয়ে। তবে, সেই সময় ঠিক করবেন স্পিকারই।
पार्श्वभूमी
নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে রাজনৈতিক সঙ্কট মামলায় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ১৫ বিদ্রোহী বিধায়কের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বিধায়সভায়। স্পিকারকেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও, সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়টি স্পিকারের হাতেই ছেড়ে দিল বেঞ্চ।
সম্প্রতি, স্পিকার তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করছেন না অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কং-জেডিএস-এর ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে স্পিকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক।
এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভার কাজকর্মে হাজির হতে বাধ্য করা যাবে না। এমনকী, সরকারের আস্থাভোটেও অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না তাঁদের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শাসক জেডিএস-কংগ্রেস জোটের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ, এই ডামাডোলের মধ্যে চার বিদ্রোহী বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যা মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে বৃহস্পতিবারের আস্থাভোটের আগে সামান্য হলেও আশার কিরণ দেখিয়েছিল।
এদিন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রায় দেওয়ার সময় সাংবিধানিক ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিচারপতিরা বলেন, এই মামলায় উঠে আসা বাকি বিষয়গুলির মীমাংসা পরে হবে।
আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানান, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি সাংবিধানিক নীতি মেনেই সব দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, এই রায় বিদ্রোহী বিধায়কদের নৈতিক জয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, এখন নিশ্চিত যে সরকারের পতন হচ্ছে। কারণ, সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -